সাম্প্রতিক কবিতাসমূহ

শিক্ষা সফর

শিক্ষা সফর
-Ripon Barman
অনেক জল ঘোলা করে সফর হল শেষ
বসছি এবার এটা নিয়েই লিখব সবিশেষ ।
সুভাষ দা রায়হান স্যার মিলে দুই জনে
ঠিক করল সিলেট যাব খুশি সবার মনে ।
যাবার ঠিক আগের দিন হল একি কাজ
রায়হান স্যার তো বেকে বসল অন্য তার
সাজ ।
অনেক কষ্টে ম্যানেজ করে দিন হল ঠিক
১৬ তারিখ সকাল বেলা যাব উত্তর দিক ।
রাত্রিবেলা ঘুম হল না শুধু এপাশ ওপাশ
কখন যে সকাল হবে রাত্রি হবে নাশ ।
ঠিক সময়ে বাসে উঠলাম বসলাম ভাল
স্হানে
রায়হান স্যার তো বাধ বসালো ,মনটা তো
না মানে ।
মেয়ে বসবে বাম দিকে আর ছেলে বসবে
ডানে
এত কষ্ট সয় কি আর ক্ষুদ্র এই প্রাণে ।
যথা সময় বাস ছাড়লো যাত্রা হল শুরু
কি জানি কি হয় আজ বুক কাপে দুর দুরু ।
এরই মাঝে সাউন্ড বক্সে গান চালিয়ে
দিল
নেচে উঠল সবার প্রাণ বাসে যারা ছিল ।
একের পর এক গান চলছে নাচ ও হচ্ছে খুব
দেখতে পেলাম সবার ভিতর অন্য এক রূপ ।
সুভাষ দা তো হেব্বি নাচে রায়হান
স্যারও কম কিসে ।
জরা গ্লানি দুর করব সব পায়ের তলায়
পিসে ।
মামুন শাহর নাচের স্টাইল একে বারেই
ভিন্ন ।
আউলা ঝাউলা নাচটা শুধু আছে অভির
জন্য ।
ফারজানা মিতু অল্প নাচে হাতে তালি
দিয়ে
চৈতি পদ্ম নেচে আজ দিল ফাটিয়ে ।
মাঝে মাঝে প্রিতম এসে তুলে ফেলে ঝড়
লোকনাথ আর আরিফ ও নাচেযে জব্বর ।
মেয়েরাও নাচের ক্ষেত্রে নয়তো
পিছিয়ে
বাংলাভিষণে হতে পারতো সেরা
নাচিয়ে ।
মেলর্বোন থেকে আগত মেলবা নাকি নাম
নাচলো না তো মোটেও নাই বলে তার
শাম ।
নাচতে নাচতে লাগল খিদে পারছি না
তো আর
সকালের নাস্তা এবার তবে খাওয়াই
দরকার ।
দুইটা রুটি একটা ডিম ভাজিও দিল কিছু
সব টুকো খেয়েও হায় খিদা ছাড়লনা পিছু

খেয়েদেয়ে ফ্রেস হয়ে রওনা দিলাম
ফের
সিলেট যাব সবাই মিলে আনন্দের নাই
জের ।
লটারীর টিকিট বিক্রি করল মামুন
চৌধুরী
৪০টাকা দা দুইটা কিনলাম দেখতে
চাতুরী ।
এবার হল গানের পালা সবাই গাইবে গান
যাবে বুঝি এবার আমার যাবে যাবে মান

রায়হান স্যার তো ধারুণ গায় মিষ্টি
গানের গলা
মনটা আমার বলছে শুধু পালা বাপু পালা ।
এসো এসো কাছে এসো সুর দিয়ে যে
ডাকে
রায়হান স্যার গানের জন্য সবার নাম ই
হাকে ।
একে একে সবাই গাইল সুন্দর সবার সুর
জাফলং যেতে দেরী অনেক আছে অনেক
দুর ।
পথের দ্বারে চা বাগানে বাস করালো
দাড়
তারাতারি নামতে হবে দেরী সয়না আর ।
ছবি তুললাম সবাই মিলে দেখলাম কত
পাহাড়
কাটা তারের বেরা পেরুতে ভয় জাগলো
সবার
ঈশ্বরের কি লিলাখেলা কত মহান তিনি
এই যে কত বৃক্ষ পাহাড় সৃজিলা আপনি ।
ছোট ছোট চা গাছ তাতে পাতা ছিল কম
তাতেই আমরা খুশি সবাই বিদাই দিলাম
যম ।
যাত্রা করলাম আবার মোরা দেখে
চায়ের বাগ
জাফলং যাব খুব শিগগীর ই জাগরে খুশি
জাগ ।
জাফলং গেলাম মোরা সকল ঠিক দুপুর
বেলা
খেয়েদেয়ে ফ্রেস হয়ে পড়ে দিব মেলা ।
মাংস দিল দুই টুকরো ডাল দিল এক বাটি
ছিরি দেখে তরকারির উল্টো পথে হাটি

খাওয়া শেষে হাত মুছে পাল্টালাম তো
বেশ
সিনান করব অনেক ক্ষণ মনে খুশির রেশ ।
রওনা দিলেম আবার মোরা যাব হেটে
হেটে
সূয্যি মামা রোদ দিচ্ছে সবার মাথায়
বেটে ।
জিরো পয়েন্ট গিয়ে মোরা নেমে
গেলাম জলে
এত শান্তি এত আরাম শেষ হবে না বলে ।
স্নান শেষে নৌকা যোগে রওনা দিলেম
ঘাটে
তিনটি নৌকায় উঠবে সবাই মাঝি দিলেন
বেটে ।
আমরা সবাই উঠার পর জায়গাতো আর
নাই
সুভাষ দা আর রায়হান স্যার হেঁটে
গেলেন তাই ।
সন্ধ্যা সময় বাস ছাড়ল দেখতে যাব
মাজার
শাহ্ পরানের মাজার দেখব পূন্য হবে
হাজার ।
২টা মেয়ে মাজারেতে আমার সাথে করল
খারাপ আচার
ঠিক তখনই মন থেকে সুখ হল যে পাচার ।
শাহ্ পরানের পর পর ই গেলাম শাহ্
জালাল
এত সুন্দর মাজার না হেরিলে যাওয়া
হতো না হালাল ।
জিয়ারত শেষে খাওয়ার পালা গেলাম
রেস্টুরেন্ট
এত খিদায় হাটতে পারি না ঢিলা হল
প্যান্ট ।
হিন্দু মুসলিম আলাদা ভাবে খেলাম মজা
করে
সবার আগে খাওয়া শেষে এলাম বাসের
দ্বারে ।
রওনা দিলাম ফের মোরা নরসিংদীর
দিকে
হাসি গুলি মনের ভিতর কখনো হবে না
ফিকে ।
এরই মাঝে লটারি হবে খুশিতে ভরপুর
লটারি আমি দুইটা কিনছি পাবই সিউর ।
রায়হান স্যার মজার মানুষ করেন
পরিচালন
বলেন তিনি যা করতে আমরা করি পালন

এত সুন্দর পুরস্কারের কথা লিখতে না চাই
লটারির কথা বাদ দিলাম তাই অন্য কথায়
যাই ।
মাঝ রাতে হঠাৎ দেখি ওমা একি কান্ড
মারিয়ার নাচে চোখ থেকে ঘুম হল পণ্ড ।
প্রিতম তো মাজনি দিয়ে নতুন স্টাইলে
নাচে
সুভাষ দা ও নাচতে নাচতে গেলেন সবার
কাছে ।
নাচে গানে খুব সকালে সফর হল শেষ
চেষ্টা করলাম এটা নিয়েই লিখতে
সবিশেষ ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন