সাম্প্রতিক কবিতাসমূহ

সেই নদী

সবার অলক্ষ্যেই চলিছে বহিয়া আমাদের ছোঁট নদী,
সকরুণ চোখে অশ্রু আসিবেই, কেহ লক্ষ করে যদি।
কাঁদিয়া উঠিবে প্রান আর শিহরিত হবে তনুমন
কি হইয়াছে হালটি তাহার, এতটুকু না পেয়ে যতন।
জীর্ন বসনা মাতা আমার,  রিক্ত নিঃস্ব আজি
হালটি তাহার কি করিয়াছি, মোরা ভিষণ পাজি।
সেই যৌবন কোথায় গিয়েছে, কোথায় গিয়েছে সেই মায়া  ।
সারা নদী পানে চাহিয়া আজো, দেখিনা স্নেহের ছায়া।
নির্মল জলে ছায়া ভাসে না, ময়লা তার স্তুপে স্তুপে
পূর্বপুরুষ ভেবেছিলো কি তাকে দেখবে এমন রূপে।
চন্দনগন্ধী সুভাষ এখন,  কল্পনায় শুধু ভেসে বেড়ায়
খঞ্জনগুলো কি এখনো খেলে নিজ নিজ ডেরায়?
ঘাটগুলো আজ উধাও হয়েছে নাইতে নামে না কেউ
বালুকা তটে আর যুগল হাটে না, পায়ে লাগাতে ঢেউ।
পল্লীবধু কলসি কাখে,  জল নিতে গিয়েছে ভুলে
জমিদারের সেই বজরা চলেনা, ঢেউয়ের তালে দুলে।
চারিদিকে আজ হাহাকার শুনি করুন ব্যথার সুর
সেই সুদিনের নদী আমার,  গেলইবা কোন সে দূর?
নদী বাচলে দেশ বাঁচে সর্ব দিকে শুনি এই কথা
নদীর যায়গায় নদী আছে, প্রাণটি নেই তথা।
আজও রয়েছে সেই কালো জল, সেই মৃদু ধারা
নানা জাতের নানান মাছ , খেলে না আর তারা।
মাছগুলো সব উধাও হয়েছে, শরতের মেঘের মত,
জেলেরাও আজ কর্মশূন্য, হৃদয়ে গভীর ক্ষত।
সেই নদী আবার ফিরে পেতে চাই, চাই কাজল আঁখি,
নিজেরাই আর নিজেদের সাথে, দিবো না করুন ফাঁকি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন